মানুষ মনে করতেছে, প্রচুর পরিমানে গাছ কাটার কারনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা কমাতে গাছের ভুমিকা খুবই নগন্য। তাপমাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে জ্বলাধার। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের নদী নালা জালাধারগুলো ভরাট করে বাড়িঘর বানানো হয়েছে। তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধিত মুল কারন এটাই। যতই গাছ লাগানো হোকনা কেন, তাপমাত্রা কমবে না একটুও যদি জলাধার বাড়ানো না যায়। অনেক নদী এখন মরেই গিয়েছে। সো, গাছ লাগাচ্ছি আর মনে করতেছি যে তাপ কমবে, সেটা একদম অমুলক। গাছ দিয়ে ভরে ফেল্লেও তাপ কমার চান্স নেই যদি আশেপাশে প্রচুর উন্মুক্ত জলাধার না থাকে। কিছুদিন আগেও ঢাকায় প্রচুর জলাধার ছিল। এয়ারপোর্ট এরিয়া প্রায় নদীর মত ছিল। সব ভরে ফেলা হয়েছে। থার্ড টার্মিনালের ওখানে ছিল এক বিশাল পুকুর। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল বিশাল এক লেক। সেটা এখন অদৃশ্য। আশিয়ান সিটিতে ছিল বিশাল এক বিল। সেটা এখন কল্পনার জগতে চলে গিয়েছে। বাকি অন্য এরিয়ার কথাতো বলাই বাহুল্য। ধ্বংসের শেষপ্রান্তে ঢাকার সবগুলো জলাধার। এই জলাধার না করে গাছ লাগিয়ে কোন লাভ নেই বিন্দুমাত্রও