স্বপ্ন কিংবা আগুরা অথবা আড়ং এগুলো সবই হচ্ছে বড় বড় শপিং কম্পেক্স। তবে স্বপ্ন এবং আগুরা গ্রোসারি সুপার স্টোর হিসেবেই পরিচিত। অন্যদিকে আড়ং এ মুলত কাপড় টাই বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। তবে ইদানিং আরো অনেক কিছু আড়ং এ যুক্ত করা হয়েছে। যেমন ফার্নিচার এবং অল্প কিছু গোল্ডের অর্নামেন্টস ও ইদানিং আড়ং এ পাওয়া যায়।
আবার যদি স্বপ্ন কিংবা আগুরার কথা ধরি তাহলে দেখা যায়, এসব সুপার স্টোরে এমন কোন জিনিস নেই যা পাওয়া যায়না। আপনি যা যা কল্পনা করতে পারেন এবং যা যা কল্পনা করতে পারেন না তার সবই পাওয়া যায় এসব সুপার স্টোরে। এসব সুপার স্টোর কিংবা মাল্টি পারপাস শপিং কম্পেক্সে আপনি দেখবেন যে, প্রচুর কর্মী নিয়মিত কাজ করছে।
নরমালি ২ ধরনের কাজের জন্য এসব শপিং কম্পেক্স বা সুপার স্টোরে লোক নেয়া হয়ে থাকে। প্রথমত কিছু পদ আছে যেখানে ক্যাশ এ টাকা জমা নেয়ার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। যারা কাস্টমার দের কাছ থেকে পন্যের টাকা জমা করেন তাদের কথা বলছিলাম।
আর এক ধরনের যারা কাস্টমার দের নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। এদেরকে সেলস ম্যান বা সেলস গার্ল বলা হয়ে থাকে। তবে যারা সেলস বয় বা সেলস গার্ল হিসেবে জয়েন করেন তাদের অনেকেই পরে ধিরে ধিরে ক্যাশ এ টাকা জমা নেয়ার কাজটাও করতে পারেন। তবে ক্যাশের কাজ করার জন্য হালকা পাতলা কম্পিউটার চালনা জানা থাকা দরকার পড়ে।
যাইহোক, স্বপ্ন তে যদি আপনি যান তবে সেখানে দরজার কাছে সিভি জমা দেবার বক্স দেখতে পাবেন। সেই বক্সে আপনি যদি সিভি জমা দিয়ে আসেন তাহলে আশা করা যায় যে, কিছু দিনের মধ্যেই কাজের জন্য ডাক পাবেন। বেতন ৮০০০ থেকে ১৫০০০ বা ২০০০০ এরকম হয়ে থাকে।
আড়ং এর ক্ষেত্রেও এপ্লাই করার সিস্টেমটা প্রায় একই রকম। তবে আড়ং এর বেশ কিছু বিশেষায়িত পদের জন্য অনলাইনে নিয়মিত সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
আগুরাতে খুব বেশি নিয়মিত লোক নিয়োগের জন্য বক্স থাকেনা। ৬ মাস পর পর আমি লক্ষ্য করেছি আগুরা লোক নিয়োগের জন্য শপের ভেতরেই লিফলেট আকারে বা বক্স আকারে সিভি জমা দেবার সিস্টেম দেয়া থাকে। সেক্ষেত্রে আগুরায় নিয়মিত যাতায়াত করলে কোন এক সময় পেয়ে যেতে পারেন সার্কুলার। আগুরাতে বেতন তুলনামুলক ভাবে একটু বেশি।
এছাড়া এখানে ক্লিক করে এপ্লিকেশন জমা দিতে পারছে সবাই