🗾 জাপানে ৩ লাখ টাকা বেতনে আড়াই লাখ কর্মী নিচ্ছে! ✅ ঢাকায় ট্রেনিং, নিয়ম-কানুনসহ সব তথ্য প্রশ্নোত্তর আকারে 🛫
🟢 প্রশ্নঃ জাপানে চাকরির এই সুযোগ কীসের ভিত্তিতে মিলছে?
🔵 উত্তরঃ
জাপান সরকার "Specified Skilled Worker (SSW)" নামে একটি কর্মসূচির আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ২.৫ লাখ বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। মূলত নিম্ন ও মাঝারি পর্যায়ের কাজের জন্য তারা দক্ষ কর্মী খুঁজছে। বাংলাদেশও এই তালিকায় রয়েছে।
🟢 প্রশ্নঃ সেক্টর বা পেশাগুলো কী কী?
🔵 উত্তরঃ
নিম্নোক্ত ১৪টি সেক্টরে কর্মী নিচ্ছে জাপান —
-
Caregiving (বয়স্কদের সেবা)
-
Construction (নির্মাণ)
-
Food Service Industry (রেস্তোরাঁ কর্মী)
-
Agriculture (চাষাবাদ)
-
Fisheries (মৎস্য)
-
Industrial Machinery
-
Electronics
-
Shipbuilding
-
Aviation
-
Building Cleaning
-
Automobile Maintenance
-
Hospitality
-
Textile Industry
-
Metal Industry
🟢 প্রশ্নঃ বেতন কত?
🔵 উত্তরঃ
জাপানে কাজের ধরন ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন ভিন্ন হয়। সাধারণত শুরুতেই:
🔹 বাংলাদেশি টাকায় ২.৮০,০০০ থেকে ৩.২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।
🔹 ওভারটাইম ও অন্যান্য সুবিধা থাকায় মাসিক আয় বেড়ে ৪ লাখ+ হতে পারে।
🟢 প্রশ্নঃ কারা আবেদন করতে পারবে?
🔵 উত্তরঃ
✔️ বয়স: ১৮ থেকে ৩৮ বছর পর্যন্ত
✔️ শারীরিকভাবে সক্ষম
✔️ সংশ্লিষ্ট সেক্টরে দক্ষতা থাকতে হবে
✔️ ন্যূনতম এসএসসি/এইচএসসি পাশ
✔️ জাপানিজ ভাষায় JLPT N5 অথবা JFT-Basic সার্টিফিকেট থাকা প্রয়োজন
🟢 প্রশ্নঃ জাপানিজ ভাষা শিখতে হবে কেন?
🔵 উত্তরঃ
জাপানে কাজ করতে গেলে ন্যূনতম যোগাযোগ করতে জানতে হবে। এজন্য Japanese-Language Proficiency Test (JLPT) N5 বা JFT-Basic পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
🟢 প্রশ্নঃ ভাষা ও স্কিল ট্রেনিং কোথায় হবে ঢাকায়?
🔵 উত্তরঃ
ঢাকায় বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাপানিজ ভাষা ও স্কিল ট্রেনিং দিচ্ছে। যেমনঃ
🔹 BMET (ব্যুরো অফ ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং)
📍 লোকেশন: ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা
🌐 ওয়েবসাইট: www.bmet.gov.bd
🔹 Probashi Kallyan Training Center (PKTC)
📍 কল্যাণ ভবন, ঢাকা
🔹 Private Institute:
-
Mirai Nihongo Center
-
JLC Japan Language Center
-
SSW Bangladesh
এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাপানিজ ভাষা, SSW সেক্টরভিত্তিক স্কিল ট্রেনিং এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি করানো হয়।
🟢 প্রশ্নঃ প্রশিক্ষণের মেয়াদ কত দিন?
🔵 উত্তরঃ
⏱️ সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ট্রেনিং দিতে হয়।
এরমধ্যে ভাষা শেখা + হাতে-কলমে দক্ষতা শেখানো হয়।
🟢 প্রশ্নঃ কিভাবে আবেদন করব?
🔵 উত্তরঃ
ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলো:
-
✅ জাপানিজ ভাষা পরীক্ষায় (JLPT/JFT) পাশ করুন
-
✅ নির্দিষ্ট স্কিল পরীক্ষা (SSW) দিন
-
✅ BMET-এর মাধ্যমে অথবা লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করুন
-
✅ চাকরি নিশ্চিত হলে, COE (Certificate of Eligibility) পাওয়া যাবে
-
✅ এরপর ভিসা আবেদন করুন
🟢 প্রশ্নঃ কোন ভিসা টাইপে নেওয়া হচ্ছে?
🔵 উত্তরঃ
🔸 SSW-1 (Specified Skilled Worker Type 1) ভিসায় নেওয়া হয়
🔸 মেয়াদ: ৫ বছর পর্যন্ত
🔸 পরিবার নেওয়া যাবে না (SSW-1 তে)
🟢 প্রশ্নঃ কেমন খরচ পড়বে?
🔵 উত্তরঃ
সরকারি ট্র্যাকের মাধ্যমে গেলে খরচ তুলনামূলক কম।
✅ ভাষা ও স্কিল ট্রেনিং: ২৫,০০০ – ৭০,০০০ টাকা
✅ ভিসা ও টিকিট: ৬০,০০০ – ১.২ লক্ষ টাকা
✅ এজেন্সি ফি: নির্ভর করে, তবে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকে
🟢 প্রশ্নঃ ভিসা পাওয়ার পর জাপানে গিয়ে কী সুবিধা থাকবে?
🔵 উত্তরঃ
🔹 কাজের নিরাপত্তা,
🔹 স্বাস্থ্যসেবা,
🔹 থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা
🔹 সময়মতো বেতন
🔹 সুযোগ পেলে SSW-2 তে রূপান্তর এবং স্থায়ী হওয়ার সুযোগ
🟢 প্রশ্নঃ প্রতারণা থেকে বাঁচতে কী করবো?
🔵 উত্তরঃ
❗ অবৈধ এজেন্সি ও দালাল থেকে সাবধান!
✅ শুধুমাত্র BMET অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করুন।
✅ সরকার অনুমোদিত ওয়েবসাইট থেকে তথ্য যাচাই করে নিন: www.bmet.gov.bd
🟢 প্রশ্নঃ মেয়েরা আবেদন করতে পারবে?
🔵 উত্তরঃ
হ্যাঁ, বিশেষ করে Caregiving, Food Industry, Agriculture ইত্যাদি সেক্টরে মেয়েদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
🟢 প্রশ্নঃ এই ট্রেনিং শেষে চাকরি না পেলে কী হবে?
🔵 উত্তরঃ
ট্রেনিং সার্টিফিকেট দিয়ে ভবিষ্যতে অন্য দেশেও কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। বাংলাদেশেও প্রাইভেট সেক্টরে ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া সম্ভব।
✅ সারসংক্ষেপ (Highlighted):
🌟 বেতন: ৩ লাখ+
🌟 চাকরি সংখ্যা: ২.৫ লাখ
🌟 সেক্টর: ১৪টি
🌟 ভিসা টাইপ: SSW-1
🌟 প্রশিক্ষণ: ঢাকায় (BMET/PKTC/Private)
🌟 ভাষা: JLPT N5 বা JFT Basic
🌟 খরচ: আনুমানিক ১.৫ - ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে
🌟 ভবিষ্যৎ সুযোগ: স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা
📌 বিশেষ পরামর্শ:
জাপানে কাজ করার আগে ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ, উন্নত ও নিয়মতান্ত্রিক দেশ জাপান — সততা ও ধৈর্য থাকলে জীবন বদলে যাবে! 🇯🇵