আসছে রমজানের ৩০ দিনে ৩০০০০ বেতনে কাজ করতে চাইলে যমুনা ফিউচার পার্কের এই জব নিতে পারেন

রমজানের ৩০ দিনে পার্ট টাইম কাজ করতে পারেন। এসব পার্ট টাইম কাজের অধিকাংশই কিন্তু দোকানে সেলসম্যন বা সেলসগার্ল হিসেবে কাজ। বিশেষ করে যমুনা ফিউচার পার্কে কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। সেখানে দোকানভেদে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত সেলারি পেতে পারেন শুধুমাত্র ১ মাস রমজানে কাজ করেই। তবে ব্যপারটা এরকম নয় যে, আপনি গেলেন আর আপনাকে ৩০০০০ টাকা সেলারির জবটা হাতে তুলে দিল। সবকিছুর জন্য কষ্ট করতে হয়। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।
৩০ হাজার টাকা সেলারির যে চাকরিটা সেটা সব দোকানে নেই। খুবই কম সংখ্যক দোকান যেগুলো যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত, তারাই শুধুমাত্র কিছু শর্তের ভিত্তিতে এই বেতনে ১ মাসের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
সেক্ষেত্রে, দোকানগুলোকে কনভিন্স করার দায়িত্ব সম্পুর্ন আপনার। ধরুন আপনি একটা দোকানে কাজ পেলেন টেস্ট বেসিসে। মানে হচ্ছে, আপনাকে ২/৩ দিন কাজ করতে হবে যখন তারা আপনাকে টেস্ট করতে থাকবে যে, আপনি কেমন পন্য বিক্রিতে সাহায্য করতে পারছেন। যদি এমন হয় ২/৩ দিনেই আপনি এমনভাবে কাস্টমার হ্যন্ডেল করতে সক্ষম হলেন যে, আপনার কাছ প্রচুর ক্রেতা পন্য কিনে নিয়ে গেল যার ফলে সেই দোকানের প্রচুর লাভ হল। এরকম যদি হয়, তাহলে সেই দোকানে আপনি যত সেলারিই চান না কেন তারা আপনাকে তাই দেবে।
তারা আপনাকে অফার করবে যে আপনি কত সেলারি এস্পেক্ট করেন। তখন আপনি ৩০ হাজার বলবেন। এই বেশি বইলেন না, কারন এর বেশি বললে হিতে বিপরীত হতে পারে।
যাইহোক, চাকরিগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে কিভাবে পেতে পারেন সেই বিষয়ের দিকে যাচ্ছি। এইসব চাকরি পেতে হলে আপনাকে একটু কষ্ট করতেই হবে। যেমন ধরুন, প্রথম কষ্ট হচ্ছে, আপনাকে যমুনা ফিউচার পার্কে যেতে হবে। তারপর, ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে কোন দোকানে সিভি নেয়া হচ্ছে। মুল যেসম দোকানে সিভি নিচ্ছে সেসব দোকানের ভেতরে বা বাহিরে একটা বক্স থাকে, যে বক্সে লেখা থাকে ক্লীক করেন >>,  Drop Your CV.
 সবচেয়ে ভাল হয়, যদি রদ দেখা আর কলা বেচা একসাথে করতে চান, সেক্ষেত্রে, যমুনাতে যাবার আগে, আপনার সিভির প্রিন্ট কপি নিয়ে যান কমপক্ষে ১০ কপি।
অতপর, যমুনাতে গিয়ে যতগুলো দোকানে সিভি ড্রপিং এর বক্স পাবেন সেগুলোর সবগুলোতে সিভি জমা দিয়ে আসবেন। ১০ টা দোকানে সিভি দিয়ে আসলে আপনি চাকরি পাবেন কমপক্ষে ৬ টি দোকানে।
মানুষ বলে, চাকরি নাকি পাওয়া যায়না। এই সিস্টেমে যদি চাকরি খুজেন তাহলে চাকরি ঢল নামবে।