নতুন নিয়মে রেলের টিকেট কেনার ক্ষেত্রে ১৭ টি প্রশ্নের উত্তর

 আগামী ১ মার্চ হতে NID বা জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ব্যতিত টিকিট ক্রয় করা যাবে না মর্মে রেলওয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণের মাঝে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। এসকল প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দেওয়ার চেস্টা করা হলো:

প্রশ্ন-১: একের অধিক টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সবার এনআইডি লাগবে কিনা?
উত্তর-১: একের অধিক টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে যার আইডি ব্যবহার করা হবে ভ্রমণকালে তাকেই আইডি দেখানো লাগবে। অন্যদের আইডি দেখানোর প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন-২: কাউন্টারে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে আইডি লাগবে কিনা?
উত্তর-২: কাউন্টারে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত আইডি বা এই আইডির বিপরীতে দেওয়া ফোন নাম্বার বললেই হবে। টিকেটিং ডাটাবেইজে সংরক্ষিত তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকিটের উপরে মুদ্রিত হবে। তবে ভ্রমণকালে আইডি বা আইডি'র ফটোকপি দেখালেই চলবে।
প্রশ্ন-৩: কাউন্টারে নিবন্ধন করা যাবে কিনা?
উত্তর-৩: কাউন্টারে নিবন্ধন করার সুযোগ নেই। তবে প্রতিটি জেলা শহরের স্টেশনে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কোনো যাত্রী গেলে তাকে সহযোগিতা করা হবে নিবন্ধনের জন্য।
প্রশ্ন-৪: রেজিস্ট্রেশনের কোনো তথ্য পরিবর্তন করা যাবে কিনা?
উত্তর-৪: রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আপাতত শুধু ইমেইল ও ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
প্রশ্ন-৫: বর্তমানে একবারে সর্বোচ্চ কতজনের টিকিট ক্রয় করা যাবে?
উত্তর-৫: চারজনের টিকিট ক্রয় করা যাবে।
প্রশ্ন-৬: সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট ক্রয়ের সুযোগ থাকবে কিনা?
উত্তর-৬: বর্তমানে ৭ দিনে সর্বোচ্চ দুই বার টিকিট ক্রয়ের যে লিমিট দেওয়া তা অচিরেই তুলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে একইদিনে একই যাত্রা স্টেশন থেকে একের অধিকবার টিকিট ক্রয়ের সুযোগ
থাকবে না।
প্রশ্ন-৭: টিকিটের উপরে যাত্রীর নাম বা আইডি সাথে ভ্রমণকারীর তথ্য না মিললে কি হবে?
উত্তর-৭: ভ্রাম্যমাণ আদালত বা ভ্রাম্যমাণ টিকিট চেকার বা টিটিই কর্তৃক চেকিংকালে টিকিটের উপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্যের সাথে ভ্রমণকারীর তথ্য না মিললে যাত্রীর নিকট থাকা টিকিটটা হস্তান্তরের দায়ে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ভ্রমণকারীকে বিনা টিকিটের যাত্রী বিবেচনায় নিয়ে জরিমানা ও ভাড়া আদায় করা হবে। এক্ষেত্রে জরিমানা ভাড়ার সমপরিমান হবে।
প্রশ্ন-৮: এসএমএস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে কিনা?
উয়তর-৮: অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বার ও আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে।
প্রশ্ন-৯: জন্ম নিবন্ধন সনদ কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
উত্তর-৯: ১২-১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
প্রশ্ন-১০: জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কতদিনের মাঝে সম্পন্ন সম্ভব হয়?
উত্তর-১০: যেহেতু ম্যানুয়ালি তথ্য চেক করে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয় তাই এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭২ ঘন্টা সময় প্রয়োজন হবে।
প্রশ্ন-১১: যাদের আগে থেকে আইডি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কি করণীয়?
উত্তর-১১: যাদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা আছে তারা ফোন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন। এরপর এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে ভেরিফাই করে নিলেই হবে।
প্রশ্ন-১২: রেজিস্ট্রেশন করা যাবে কি কি ভাবে?
উত্তর-১২: মূলত তিনভাবে একজন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অনলাইন, মোবাইল আ্যপ ও মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে।
অনলাইনের ক্ষেত্রে eticket.railway.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে পারবেন। মোবাইল আ্যপের ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টরে গিয়ে Rail Sheba আ্যপের মাধ্যমে এবং মোবাইল এসএমএসের ক্ষেত্রে BR<>NID#<>date of Birth লিখে ২৬৯৬৯ নাম্বারে সেন্ড করতে হবে। এক্ষেত্রে জন্মতারিখের ফরম্যাট হবে YYYY-MM-DD।
প্রশ্ন-১৩: একবার রেজিষ্ট্রেশন করলে মেয়াদ কতদিন থাকবে?
উত্তর-১৩: সফলভাবে পরিচয়পত্র যাচাই(ভেরিফাই) এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হলে রেলওয়ের টিকেট ক্রয়ে আর রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে না।
আশাকরি উপরের প্রশ্নগুলির বাইরেও আপনাদের মনে আরও প্রশ্ন থাকবে। সেগুলো এই পোস্টের নিচে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করলে আপনাদেরকে উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেস্টা করা হবে।

যাদের খুব জরুরী জব দরকারি তারা নিচের জবগুলো দেখতে পারেন




 কথা বলার জন্য 📲ফোন নাম্বার নিন