সন্ধ্যার পর প্রচন্ড ঝড় ও বড় বড় শিলাবৃষ্টি হবে। সবাই শিলা থেকে নিরাপদে থাকবেন

আজ সন্ধ্যার পর প্রচন্ড ঝড় হতে পারে। সাথে বজ্রপাত হবার কথাও আছে। এছারা, কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। যেহেতু বর্তমানে বড় বড় সাইজের শিলা পড়তে থাকে তাই সাবধানে থাকবেন যাতে যদিও শিলাবৃষ্টি হয়, তাতেও যাতে আপনার কোন বিপদ না হয়। সবার জন্য দোয়া রইলো।

 এই বৃষ্টি এবং ঝড় হবার কথা ছিল সকালে। কিন্তু ব্যাতিক্রমধর্মী আবহাওয়ার কারনে ঝড়ের কারন কিছুটা সামনের দিকে সরে গিয়েছে। গতকাল রাতেই সকালে বৃষ্টি হবার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পুর্বাভাস সবসময় সঠিক হয়না। ফলে সকালে ঝড় হয়নি।

তবে এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, আকাশের অবস্থা থমথমে।  মুলত দুপুর ৩ টার পর থেকে আকাশের থমথমে ভাব শুরু হয়েছে। সকালের ঝলমলে রৌদ্দজ্ব্যল আবহাওয়া দেখে মনে হয়েছিল যে, বৃষ্টির কথা যে গতকাল বলা হয়েছিল, সেটা সঠিক হবার কোন চান্স নেই। তবে বেলা যতই গড়াতে থাকে ততই বুঝা যায়, বৃষ্টি আসবে আসবে করছে।

আপাতত আকাশে যে পরিমান মেঘ জমা হয়ে আছে, সেটা বৃষ্টি হয়ে নামলে, বলা যেতে পারে, বেশ ভাল মানের একটা ঢল হবে।

শিলা যে পড়বেই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে পড়া শুরু হতেই পারে। কারন প্রকৃতির ভাবমুর্তি এখন কেউই ভালমত বুঝতে পারছেন না। বড় বড় ওয়েদার ফরকাস্টাররা একদম ঘলদগর্ম হয়ে গিয়েছে আবহাওয়া উলটপালট চিত্র দেখে। কোন হিসেবই সঠিক ভাবে করা যাচ্ছে না। কোন প্রেডিকশনই কাজে আসছে না।

প্রকৃতির এই আচরন দেখে এটা নিশ্চিত যে, প্রকৃতি নিজের দায়িত্ব সম্পুর্ন নিজের দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছে। কারো প্রেডিকশনকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

এই চৈত্র মাসের কথাই ধরুন। এই মাসে থাকার কথা ছিল ভয়াবহ গরম। অথচ দেখেন, চারদিক কেমন, ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল ওয়েদার।

আবার অন্যদিকে দেখেন, বৈশাখ মাস চলেই আসলো প্রায়। অথচ চৈত্র মাসে বৈশাখের অনেক খানি আমেজ পাওয়া গিয়েছে। একমাত্র আল্লাহ জানেন, বৈশাখ মাসের ওয়েদার কেমন হবে।

তবে আশাকরা যায়, বৈশাখ মাসেও এই চৈত্রের মত কুল কুল একটা আমেজ বজায় থাকবে।

আপনারা অনেকেই শুনে এসেছেন, ঈদের দিন ভ্যাপসা গরম থাকবে। কিন্তু কই? গরমের তেমন কোন লেশ মাত্র নেই। ভ্যাপসা গরম তো দুরের কথা। 

গতকালের কিছু স্বনামধন্য ওয়েবসাইটের তথ্যমতে জানতে পেরেছিলাম যে, ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে তারা গরমের কথাও উল্লেখ করেছিল।

আপনি নিজেই যদি, অনলাইনে বাতাসের গতিবিধির লাইভ ভিউটা দেখেন তাহলে ইজিলি গেইজ করতে পারবেন যে, আজ ঠান্ডা ঠান্ডা থাকার সম্ভাবনে বেশি ছিল। গত ছয় মাসের গ্রাফ থেকে সেটাই কিছুটা আন্দাজ করা যায়।

তবে আবহাওয়া কিভাবে চলবে সেটা একমাত্র আল্লাহ জানেন। তিনিই একমাত্র সবকিছুর নীতিনির্ধারক। সুবহানাল্লা, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার।



Comments